বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিককে পিটিয়ে হাত-পা ভাঙলেন প্রেমিকা ও পরিবারের সদস্যরা



স্থান: ফরিদাবাদ, হরিয়ানা
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলায় প্রেমঘটিত এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবক। অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে প্রেমিক গুলশানকে ভয়াবহভাবে মারধর করে। এতে তার হাত-পাসহ ১৩টি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রেমের সম্পর্ক থেকে সহিংসতায় রূপ
ভুক্তভোগী গুলশান জানান, ২০১৯ সালে এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজনই বিবাহিত হলেও গুলশান তার স্ত্রী থেকে আলাদা থাকেন, এবং প্রেমিকা বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে সময় কাটলেও বিষয়টি গত ২৯ মার্চ ভয়াবহ মোড় নেয়।
বিয়ের শর্তে টাকা ফেরতের দাবি
গুলশানের দাবি, প্রেমিকা তার কাছে সাড়ে ২১ লাখ টাকা ঋণ নেন। সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে প্রেমিকা বিয়ের দাবি করেন। গুলশান বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিকা এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং শরীরের ১৩টি হাড় ভেঙে যায়।
বাঁচার জন্য পালিয়ে হাসপাতালে আশ্রয়
গুলশান বলেন, “আমি শুধু আমার পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে, জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হই।” এরপর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, যেখানে তিনি টানা ১৭ দিন ধরে চিকিৎসাধীন।
পুলিশি তদন্ত ও মামলা দায়ের
গুলশানের অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদাবাদ পুলিশ পাঁচজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তদন্ত চলছে।
সামাজিক বার্তা ও প্রশ্ন
এই ঘটনা সমাজে প্রেম এবং সম্পর্কের বাস্তবতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। প্রেমের নামে আর্থিক লেনদেন, অতিরিক্ত চাপ ও সহিংসতার বিষয়গুলো এখন আর ব্যক্তিগত নয় – বরং সামাজিক ও আইনি গুরুত্ব পাচ্ছে।


 

Next Post Previous Post